জি এম মামুন নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল আচর্য প্রফুল্ল চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে শিক্ষকদের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকা সময় স্কুল চত্বরে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক ও শিক্ষকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শত শত ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে চাম্পাফুল আচার্য প্রফুল্ল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বক্তব্যে সূত্রে জানা যায়।
গত ১৩/০৩/২২ তারিখে চাম্পাফুল গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র কথিত সাংবাদিক পরিচয় দানকারী আমিরুল ইসলাম। চাম্পাফুল আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় অফিস কক্ষে প্রবেশ করে। এবং নিজেকে সাংবাদিক বলে জাহির করে। এক পর্যায়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম সাথে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আমিরুল ইসলাম বলেন। আপনারা স্কুলের পাঁচিল বরাবর দোকান বানাচ্ছেন। এটা কোন নিয়ম নাই এটা সম্পূর্ণ দুর্নীতি ভাবে আপনারা ব্যবসার জন্য তৈরি করছেন। এমন কথা জবাবে প্রধান শিক্ষক কথিত সাংবাদিক আমিরুল ইসলামকে বলেন আমি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির মিটিং সবার সিদ্ধান্তক্রমে স্কুলের উন্নয়নের কাজে ব্যবহারের জন্য দোকান বানানোর অনুমোদন হয়েছে এবং আমার দোকান তৈরীর জন্য রেজুলেশন আছে।
কথিত সাংবাদিক আমিরুল বারবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম, স্কুলের অফিস প্রধান ইয়াসিন আলীর কাছে চাঁদা দাবি করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম এবং অফিস প্রধান ইয়াছিন আলী কথিত সাংবাদিক আমিরুলকে টাকা না দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। কথিত সাংবাদিক আমিরুল স্কুলের বিরুদ্ধে এবং শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নিউজ করবে বলে জানান।
আমিরুল শিক্ষকদের বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালমন্দ সহ বারবার হুমকি দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষকদের সাথে চরম বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয় একপর্যায়ে শিক্ষকরা আমিরুল ইসলাম তিনি কোন পত্রিকায় কাজ করে এমন পরিচয় জানতে চাইলে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যায়।
চম্পাফুল আচার্য প্রফুল্ল মাধ্যমিক বিদ্যাপিঠ কালীগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নে অবস্থিত এবং কালীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের নিয়ন্ত্রণে স্কুলের সকল কার্যক্রম চালু থাকা সত্ত্বেও আশাশুনি থানার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে কালীগঞ্জ থানার গণ্ডি পার হয়ে কথিত সাংবাদিক আমিরুল আশাশুনি থানায় স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
একপর্যায়ে কথিত সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে। আশাশুনি থানায় গিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন চম্পাফুল আচর্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় কালিগঞ্জ থানা শিক্ষা অফিস নিয়ন্ত্রন করলেও স্কুলটি আশাশুনি থানা এরিয়ায় অবস্থিত বলে আমি মনে করি। এইজন্য আশাশুনি থানায় মামলাটা রেকর্ড করা হয়েছে।
Leave a Reply